আজ বৃহস্পতিবার, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার

গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে ‘গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দাও’ স্লোগানকে সামনে নিয়ে মানববন্ধন করেছে মায়ের ডাক ও হিউম্যান ডিফেন্ডার্স নেটওয়ার্ক নারায়ণগঞ্জ ইউনিট। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন অধিকার নারায়ণগঞ্জ ইউনিটির সমন্বয়ক সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন রবিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আদমজী উম্মুল ক্বোরা জুনিয়র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদীন, ফজলুল হক উকিল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মকসুদুর রহমান জাবেদ, সামাজিক সংগঠন বিডি ক্লিন নারায়ণঞ্জের সমন্বয়ক এস এম বিজয়, সাংবাদিক আহসান হাবিব সোহাগ, মানবাধিকারকর্মী সিফায়েত উল্লাহ মাশফি প্রমুখ।

মানববন্ধন চলাকালে গুমের শিকার শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে মায়ের ডাক ও হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স নেটওয়ার্কের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিল্লাল হোসেন রবিন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘গুমের হাত থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষা’য় আন্তর্জাতিক কনভেনশন’টি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর গৃহীত হয়। এই আন্তর্জাতিক সনদ/চুক্তিটি অনুস্বাক্ষর করার ক্ষেত্রে প্রতিটি রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

গুম একটি স্বীকৃত আন্তর্জাতিক অপরাধ, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসাবে গণ্য। ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশে গুম হওয়ার ঘটনা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়, যা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের আগে ও পরে ব্যাপক আকার ধারণ করে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা এবং ভিন্নমতের অনুসারীরা এর শিকার হন, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৫৩২ জন গুমের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো অকার্যকর করে দিয়ে কর্তৃত্বপরায়ন শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার ফলে গুমের মতো ভয়াবহ অপরাধ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। জবাবদিহিতা না থাকা ও দায়মুক্তির কারণে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরা কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলেই তাঁরা আজকে রাজপথে নেমে এসেছেন।

সর্বশেষ সংবাদ